(নিজস্ব প্রতিবেদক) রেড জোন : মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশে গত ৩০ মে পর্যন্ত দীর্ঘ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে চলতি ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল ও গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্দেশনা দেয় সরকার।
এখন আগামী ১৬ জুন থেকে মানতে হবে নতুন নির্দেশনা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কিছু এলাকা ।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠন করা কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির শনিবারের সভায় এলাকা ভিত্তিক রেড জোন চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করে।
এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণের সর্ব মোট ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১৭ টি এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ২৮টি এলাকা রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটির রেড জোন এলাকা সমূহ::
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে মোট ১৭ টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো: বাড্ডা, বসুন্ধরা, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও, মহাখালী, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, আফতাবনগর, মগবাজার, গুলশান, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, রায়েরবাজার, মিরপুর ও উত্তরা ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির রেড জোন এলাকা সমূহ:
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মোট ২৮টি এলাকাকে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে এর মধ্যে আছে: ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, জিগাতলা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, লালবাগ, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, আজিমপুর, বাসাবো, রমনা, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, পরিবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, সেগুনবাগিচা, লক্ষ্মীবাজার ও এলিফ্যান্ট রোড, ।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা নির্দিষ্ট কিছু এলাকা লকডাউন করবো। যা ১৪-২১ দিন পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। যে সকল এলাকা লকডাউন থাকবে সেখানে খাবার পৌঁছানো, কোন রোগী থাকলে তার সেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিটি এবং হেল্প লাইন টিম থাকবে। এছাড়াও মোবাইল ট্রেসিং ও অ্যাপের মাধ্যমে করোনার বার্তা পেতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রেড জোন বা লকডাউন এলাকায় সংক্রমক ব্যাধি আইন প্রয়োগ করার কথা জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এ সংক্রান্ত রেজুলেশন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি।
>>>> খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করুন,