সাংবাদিক লি যেহুয়া সাংবাদিকতা করতেন নাগরিকদের বিষয়ে। আরেকজন সাংবাদিক চেন চ্যউশি উহান থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় এরপর উহানে হাজির হন লি যেহুয়া ।
২৬শে ফেব্রুয়ারি পুলিশ যখন পেছু নেয় লি যেহুয়াকে ধরার জন্য এবং আটক করে, তিনি সরাসরি সম্প্রচার করেন ওই তাড়া খাওয়া এবং আটকের পুরো ঘটনা । তিনি এরপর উধাও হয়ে যান। প্রায় দু’মাস তাকে কোথাও দেখা যায়নি।
এক ভিডিওতে লি যেহুয়া (২৫) বলেছেন, তিনি উহানে যখন গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আরেকটি গাড়ি থেকে তাকে থামতে বলে।
কিন্তু তিনি “বিভ্রান্ত” ছিলেন এবং “ভয়ে ছিলেন এবং না থেমে জোরে গাড়ি চালিয়ে চলে যান।। অন্য গাড়ি তাকে ৩০ কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে। “এসওএস” এই নাম দিয়ে তার যাত্রাপথের বেশ কিছুটা অংশ তিনি ইউ টিউবে তুলে দেন । বাসায় পৌঁছে লাইভ স্ট্রিম করতে শুরু করেন গোটা ঘটনা । পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিফর্ম পরা “বেশ কয়েকজন” লোক কিছুক্ষণের মধ্যেই কাছের এক বাসার দরজায় কড়া নাড়ে।
তিনি নি:শব্দে ঘরের আলো নিভিয়ে দেন এবং বসে থাকেন। শুনতে পান অফিসাররা অন্য বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছে। শেষ পর্যন্ত তার দরজায় এসে তারা কড়া নাড়ে , তিনি সাড়া না দিয়ে চুপ হয়ে থাকেন। তারা তিন ঘণ্টা পর আবার কড়া নাড়ে তখন দরজা খুলে দিলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায় । তার আঙুলের ছাপ আর রক্তের নমুনা নেয়া হয় এবং একটা ঘরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্দেহ করা হচ্ছে “নাগরিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তিনি, তার কোন শাস্তি হবে না” তাকে বলে পুলিশ।
তিনি এরপর একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেন তিনি উহানে দু সপ্তাহ ছিলেন “কোয়ারেন্টিনে”, তারপর তিনি আরও দীর্ঘ সময় দেশের বাড়িতে ”কোয়ারেন্টিনে” কাটান।
যেহেতু তিনি “স্পর্শকাতর মহামারি এলাকা” ঘুরেছেন, “তার কোয়ারেন্টিনে থাকা দরকার” তাকে বলা হয়।
তিনি বলেন, পুলিশ আইন মেনে আমার সঙ্গে আচরণ করে কোনরকম নির্যাতন করেনি। আমার খাওয়াদাওয়ার ও বিশ্রামের ওপর ও নজর রাখে। আমার বেশ ভালভাবে দেখাশোনা করে,” । “যারা আমার দেখাশোনা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি যারা মহামারিতে আক্রান্ত তারা সেরে উঠবেন। চীনের মঙ্গল হোক”। “কোয়ারেন্টিন শেষ করে আমি পরিবারের লোকেদের কাছে ফিরে যাই”।